আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যাঁরা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তাঁরা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য তাঁরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর সংসদ সদস্য এখন ৬৪৮ জন হয়েছে বলে কেউ কেউ ব্যাখ্যা দিচ্ছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী।
সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য তাঁরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, তাঁদের সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদ সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তাঁরা কার্যভার গ্রহণ করার পর রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আর ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আনিসুল হক বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সদস্য হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ‘ডামি’ দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।

Social Share This Story, Choose Your Platform!